সরস্বতী পুজোয় পাড়ার অনুষ্ঠানে গান গাইতাম : ইন্দ্রনীল
আগামীকাল ৫ই ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পুজো। কীভাবে কাটাচ্ছেন এই দিনটি? কলকাতা গ্লিটজকে জানালেন অভিনেতা ইন্দ্রনীল চ্যাটার্জি ।
কলকাতা গ্লিটজ : এবছর সরস্বতী পুজোর কী প্ল্যান?
ইন্দ্রনীল : এই বছর এখনও সেরকম কোনো প্ল্যান করিনি। তবে হ্যাঁ নিজের স্কুলে একবার যাওয়ার ইচ্ছে আছে। সম্ভব হলে অঞ্জলীও দেব।
কলকাতা গ্লিটজ : সরস্বতী পুজোর কোনো স্পেশ্যাল স্মৃতি?
ইন্দ্রনীল : সরস্বতী পুজো স্কুল-কলেজে পড়ার সময়ই বেশি স্পেশ্যাল থাকে। সকাল বেলা স্নান করে পাঞ্জাবি পরে, সাইকেল করে বন্ধুদের সঙ্গে স্কুলে যাওয়া। তারপর পাড়ায় যে পুজোটা হতো সেটা এনজয় করা। এগুলো সবই মেমোরেবল। আরো একটা জিনিস খুব মেমোরেবল ছিল। আমাদের পাড়ায় একটা ছোট ক্লাব ছিল, সেখানে আমার দাদারা মিলে একটা ছোট পুজো করতাম। সেখানে সকালবেলায় মাঠের মধ্যে বসে আঁকা প্রতিযোগিতা হতো। সেটাতে আমি প্রতি বছর যোগদান করতাম। সেটা খুব মজার ছিল। তারপর সন্ধ্যেবেলা বিভিন্ন কালচারাল অনুষ্ঠান হতো, সেখানে গান গাইতাম। সেটাও খুব মনে রাখার মতো ছিল। আসলে এটার প্রচুর স্মৃতি রয়েছে, বলে শেষ করা যাবে না।
কলকাতা গ্লিটজ : স্কুলে পড়ার সময় মেয়েদের স্কুলে যাওয়া বা সরস্বতী পুজো স্পেশ্যাল প্রেম কখনও হয়েছে?
ইন্দ্রনীল : স্কুলে পড়ার সময় আমি এই কনসেপ্টটা বুঝতাম না যে সরস্বতী পুজোকে বাঙালিদের ভ্যালেন্টাইন্স ডে বলা হয়। তখন শুধু এটাই ভাবতাম যে সক্কাল সক্কাল স্নান করে মায়ের পায়ে বই দেব, অঞ্জলি দেব। আর যে ফুলটা পাবো সেটা বইয়ের মধ্যে রেখে দেব যাতে সারাবছর ভালো করে পড়াশোনা হয় আর রেজাল্টটা ভালো হয়। এটাই মাথায় থাকতো। ওই স্কুলে গিয়ে মেয়ে দেখবো ওই সব কিছু মাথায় থাকতো না। তবে হ্যাঁ একটা জিনিস স্পেশ্যাল ছিল যে প্রতিদিন স্কুলে যেতাম স্কুল ইউনিফর্ম পরে, ওই একটাই দিন ছিল যেদিন সবাই সুন্দর সেজেগুজে স্কুলে যেতাম। ছেলেরা পাঞ্জাবি পরতাম। মেয়েরা শাড়ি পরে আসতো। ওই ব্যাপারটা স্পেশ্যাল ছিল।
No comments