ঠাকুমার দেওয়া বাসন্তী রঙের শাড়ি পরতাম : বাসবদত্তা
আগামীকাল ৫ই ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পুজো। কীভাবে কাটাচ্ছেন এই দিনটি? কলকাতা গ্লিটজকে জানালেন অভিনেত্রী বাসবদত্তা চ্যাটার্জি ।
কলকাতা গ্লিটজ : এবছর সরস্বতী পুজোর কী প্ল্যান?
বাসবদত্তা
: সেরকম কোনো প্ল্যান নেই। সাধারণত সরস্বতী পুজোতে আমি বাপের বাড়ির
পাড়াতেই থাকি। ছোট থেকে এই পাড়াতেই বড় হয়েছি। এখানকার সরস্বতী পুজোতেই এনজয়
করি। আমার বন্ধুদের বাড়িতে পুজো হয়। আমার বাড়িতেও আগে সরস্বতী পুজো হতো।
বাবা মারা যাওয়ার পর বাড়িতে পুজো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে সরস্বতী পুজোর
অঞ্জলিটা নিয়মিত দিই।
কলকাতা গ্লিটজ : স্কুল লাইফে সরস্বতী পুজোর কোনো গল্প?
বাসবদত্তা : স্কুলের
পুজোর কোনো অভিজ্ঞতা নেই, সেটা খুবই একটা আক্ষেপের জায়গা। কারণ প্রথম যে
স্কুলে পড়েছি সেটা মিশনারি স্কুল ছিল, ওখানে সরস্বতী পুজো হয় না। তারপর
ব্রাহ্ম গার্লস, সেটা ব্রাহ্ম, সেখানেও সরস্বতী পুজো হয় না। এরপর গোখেল
কলেজ। সেটাও ব্রাহ্ম। সেখানেও সরস্বতী পুজো পাইনি। ফলে স্কুল-কলেজে
সরস্বতী পুজোটা আমি একদমই মিস করে গিয়েছি। সেই আনন্দটা করতে পারিনি। কিন্তু
সরস্বতী পুজোটা যথেষ্ট উপভোগ করেছি।
বাসবদত্তা : খুব ছোটবেলায় ঠাকুমা বাসন্তী রঙের শাড়ি কিনে আনতো। প্রত্যেক বছর এটা বাধা ছিল। অনেক বড় বয়স অবধিই হয়েছে , ওই শাড়িটা পরেই অঞ্জলি দেওয়া হতো। বাড়ির পুজোতে থাকতাম। খুব মজা হতো। আর এখন পাড়ার পুজোতেই থাকি। পাড়ার পুজোটা প্রথমে পাড়ার দাদারা, কাকারা করতো। তারপর ওরা যখন বন্ধ করে দিয়েছিল, খুব মন খারাপ হয়েছিল। সেই বছর আমরা পাড়ার চার পাঁচজন মেয়েরা মিলে পুজো করেছিলাম, যাতে পুজোটা বন্ধ না হয়ে যায়। চাঁদা তোলা থেকে শুরু করে সবটাই আমরা করি। চার বছর করেছিলাম। এখন আবার আমাদের পরের জেনারেশন করছে। ওই পুজোর সঙ্গেই প্রত্যেকবার যুক্ত থাকি। এছাড়া আমার বাড়ির কাছে শিল্পী সংসদের অফিস। যেহেতু ওখানে আমি মেম্বার তাই গত ৬-৭ বছর ধরে ওখানে যাই। ওখানের পুজোর একটা অন্যরকম অনুভূতি রয়েছে। মহানায়ক উত্তম কুমারের সময় থেকে এই পুজোটা শুরু। সেইভাবেই এখনও চলছে। মানে ওঁনার সময় যে ধরণের খাওয়া দাওয়া হতো বা যে রীতি নীতি মেনে হতো, সেরকমভাবেই এখনো হচ্ছে। ওখানে গান বাজনারও ব্যবস্থা থাকে। যারা আসেন তারা হারমোনিয়াম বাজিয়ে ওঁনার সময়কার, ওঁনার সিনেমার গান করেন। খুব মজা হয়। গত এক-দুবছর অবশ্য করোনার জন্য যাওয়া হয়নি।
No comments