"পুজোর সময় কোনো ডায়েট মানিনা"- রাহুল
এই বছর Pandemic -এর মধ্যে পুজোর কি প্ল্যান?
প্ল্যান সেরকম কিছু নেই। এমনিতেও আমি প্রতি বছর বাড়িতে থাকি, পাড়ার মধ্যে থাকি। প্ল্যান বলতে ওই ঘুরতে যাওয়া আর খাওয়া দাওয়া। প্যান্ডেল হপিং আমি কোনোদিনও করিনি। আমি, প্রীতি, বাড়ির সবাই মিলে ঘুরতে যাব, রেস্টোরেন্টে খেতে যাব, ব্যস এই।
আড্ডা mainlyপাড়ার পুজোতেই হয়। আমার বাবা বড় করে পুজো করেন। ওখানেই আমরা বন্ধুবান্ধবরা বসে আড্ডা দিই। ক্লাবে বসে আড্ডা দিই। ফ্যামিলির সঙ্গে লং ড্রাইভে যাই। এবার Pandemic-এর জন্য কতটা যেতে পারবো জানি না। তবে ইচ্ছে আছে গাড়ি নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার।
আমি casual-ই বেশি পরি। জিন্স, টি-শার্ট। অষ্টমীর দিন পাঞ্জাবি পরি। ওটা must। তবে এই বছর বোধায়ন চরিত্রটা করতে করতে মনে হল formalপরবো। তাই এবারে formal প্যান্ট, শার্ট বেশি কিনেছি।
পুজোর জন্য আলাদা করে শপিং করো?
শপিং আগে করতাম। এখন করি না বললে মিথ্যে কথা বলা হবে। কিন্তু এখন আর ছোটবেলার মতো কোনদিন কোনটা পরবো সেরকমভাবে ভেবে কেনা হয় না। এখন সারা বছরই জামাকাপড় কিনতে হয়।
অষ্টমীতে অঞ্জলি দাও?
আমি ছোটবেলা থেকে আজ অবধি কোনোদিন অঞ্জলি দিই নি। কিন্তু পাড়ার পুজোতে অঞ্জলির সময় থাকি। আগে পুজোর কর্তৃপক্ষ হিসেবে সকলকে ফুল দেওয়া, জল ছিটিয়ে দেওয়া, টোকেন বানানো এসব করতাম। কিন্তু এখন সেটা possible হয় না। এখন প্রচুর লোক আসে। তবে এখনো আমি থাকি।
পুজোয় কিরকম খাওয়া দাওয়া করো?
পুজোর সময় সব খাই। কারণ সারা বছর একটু নিয়ম মেনে চলতে হয়। তাই মহালয়া থেকেই আমি খাওয়া দাওয়া শুরু করে দিই। বিরিয়ানি থেকে শুরু করে ফ্রাইড রাইস, মিষ্টি, লস্যি, রাস্তার রোল, চাউমিন, মোমো, মোগলাই, ফিশ ফ্রাই সব খাই। পুজোর সময় কোনো ডায়েট মানিনা।
পুজোয় বন্ধুদের সঙ্গে কি প্ল্যান?
বন্ধুদের সঙ্গে প্ল্যান বলতে ঘুরতে যাওয়া। এখন ইন্ডাস্ট্রিতেও আমার অনেক বন্ধুবান্ধব হয়েছে, তাদের সঙ্গেও আলাদা করে প্ল্যান করতে হয়। যদিও এইবার ভাগ্যলক্ষ্মীর ইউনিটের সবাই বাড়ি চলে গিয়েছে। তবে ডিরেক্টর আছে, এডি আছে। তাদের সঙ্গে একটা প্ল্যান করবো।
পুজোয় কলকাতায় নাকি কলকাতার বাইরে ঘুরতে যেতে পছন্দ করো?
পুজোতে আমি কলকাতার বাইরে কোনোদিনও যাইনি। আর আমি কোনোদিন যেতেও চাই না। কারণ দুর্গাপুজো হবে কলকাতায় থাকব না, এটা ভাবতেই পারিনা। অনেকেই জানি বাইরে ঘুরতে চলে যায়। কিন্তু আমি একদমই পছন্দ করিনা। আমি ভীড় খুব একটা পছন্দ করিনা। কিন্তু পুজোয় কলকাতায় যে মজাটা হয় সেটা সারা বিশ্ব ঘুরলেও বোধ হয় পাওয়া যাবে না। এই বছর একটু ফাঁকা ফাঁকা লাগছে করোনার জন্য।
ছোটবেলায় কিভাবে পুজো কাটাতে?
ছোটবেলায় সকালে বোনের সঙ্গে বেরোতাম। আমাদের পাড়ায় একটা গ্রূপ ছিল। তাদের সঙ্গে আড্ডা হতো। ওই গ্রূপের সবার সঙ্গে এখনও বন্ধুত্ব আছে। আর সন্ধ্যেবেলা মায়ের সঙ্গে প্যান্ডেলে যেতাম। ক্যাপ বন্দুক ফাটাতাম। খাওয়া দাওয়া করতাম। পড়াশুনা করতে হতো না। বেশিক্ষণ বাড়ির বাইরে থাকতে পারতাম। ছোটবেলায় ভাসান হয়ে গেলে খুব দুঃখ পেতাম। চারিদিক অন্ধকার হয়ে যেত, দেখে খুব খারাপ লাগতো।
পুজোর সেরা স্মৃতি?
পুজোর সেরা স্মৃতি বলতে একাদশীর দিন আমাদের ভাসান হতো। ওখানে ২৫-৩০ টা পুজোর ভাসান একইসঙ্গে হতো। ওটা একটা বিশাল ব্যাপার। ঢাকের সঙ্গে সবার নাচ। ওই স্মৃতি কোনোদিন ভুলবো না। জানি না এই বছর হবে কিনা। তবে আমার বলাই থাকে রোজ শুটিংয়ে ডেকে নাও, কিন্তু একাদশীর দিন আমি শুটিং করতে পারবো না।
ছোটবেলায় পুজোতেই আমার প্রথম প্রেম হয়। তখন অবশ্য আমরা এখনকার বাচ্চাদের মতো অত স্মার্ট ছিলাম না। পুজোয় চারদিন চোখে চোখ রাখা, একটু লুকিয়ে লুকিয়ে কথা বলা এসব হতো। পুজোর চারদিন দেখা হবে ভাবলেই আনন্দ হতো।
No comments