Header Ads

Breaking News

"এই বছর পুজোতে খুব বৃষ্টি হোক" -অন্বেষা

 


এই বছর Pandemic -এর মধ্যে পুজোর কি প্ল্যান?   
আমাদের বর্ধমানের বাড়িতে পুজো হয়। ষষ্ঠীর দিনই বাড়ি চলে এসেছি। বাড়িতেই থাকব। আমি চাই এই বছর পুজোতে খুব বৃষ্টি পড়ুক। যাতে কেউ বাড়ি থেকে বেরোতে না পারে। অন্য বছরগুলোতে বৃষ্টি হলে আমাদের মন খারাপ হয়ে যেত, যে পুজোটা মাটি হয়ে যাবে। যদিও আমি বাড়ির পুজোতেই থাকি, তবুও পুজোয় রোদ ঝলমল করলেই ভালো লাগে। কিন্তু এই বছর আমি সত্যি চাই পুজোতে খুব বৃষ্টি হোক আর কেউ বাড়ির বাইরে যেতে না পারে। এই একটা বছর যদি আমরা নিজেদের control করতে পারি, তাহলে সারাজীবন পুজোয় আনন্দ করতে পারব। 
 
পুজোয় কোথায় আড্ডা দেওয়া হয়? 
আমার বাড়িতে পুজো হয়। বাড়িতেই থাকি। বাইরে কোথাও যাই না। 

পুজোর সময় কোন ধরনের পোশাক পরতে পছন্দ করো?
ছোটবেলা থেকেই বাড়ির পুজোয় মাকে, দিদিকে দেখতাম শাড়ি পরছে , আমিও তখন অষ্টমীর দিন শাড়ি পরবো বলে খুব লাফালাফি করতাম। শাড়ি, সালোয়ার, আনারকলি, লং স্কার্ট এইসবই পরি। 

বর্ধমানের বাড়ির পুজোর ছবি।

পুজোর জন্য আলাদা করে শপিং করো?
না আমার পুজোর জন্য আলাদা করে শপিং কিছু হয় না। সারাবছরই কিছু না কিছু কিনতে থাকি। ওখান থেকেই হয়ে যায়।

 

অষ্টমীতে অঞ্জলি দাও?
হ্যাঁ অষ্টমীতে অঞ্জলি দিই। সপ্তমীতেও দিই। আমাদের বাড়িতে সবাই বলে উপোস করে নয়, ভরপেট খেয়ে অঞ্জলি দাও। মায়েরা অবশ্য সেটা করে না। কিন্তু আমাদেরকে বলা হয় ভরপেট খেয়ে অঞ্জলি দিতে। 

 পুজোয় কিরকম খাওয়া দাওয়া করো? 
আমাদের বাড়িতেই বিয়ে বাড়ির মতো ব্যবস্থা হয়। চারবেলা রান্না হয়। ষষ্ঠী থেকেই শুরু হয়ে যায়। ষষ্ঠী থেকে টানা দশমী অবধি খাওয়া দাওয়া চলে। তারপর আবার লক্ষ্মী পুজোয়। বলা হয় যেই বাড়িতে দুর্গা পুজো হয় সেই বাড়িতে নাকি লক্ষ্মী পুজোটাও করতে হয়। আমাদের বাড়িতে দুটোই বড় করে হয়। অনেক জায়গায় পুজোতে পাঁঠা বলি হয়, কিন্তু আমাদের বাড়িতে সেটা হয় না। আমাদের বাড়িতে মাছ হয় পুজোতে। আগের বছর পুজোর মেনুতে পনীর, ইলিশ মাছ , আরো অন্য মাছ, ফুলকপির তরকারি, ডাল, ভাজা ছিল।  চন্দননগর থেকে স্পেশ্যাল মিষ্টি দই আনানো হয়। মিষ্টি প্রতি বছর চন্দননগর থেকেই আসে। এছাড়াও চাটনি, পাঁপড়, পান। আর অষ্টমীর দিন লুচি, ছোলার ডাল, কুমড়োর একটা স্পেশ্যাল আইটেম হয়। অষ্টমীর দিন পুরোপুরি নিরামিষ খাবার হয়।  

  

পুজোয় বন্ধুদের সঙ্গে প্ল্যান থাকে?
আমার কোনো বছরই পুজোতে বন্ধুদের সঙ্গে কোনো প্ল্যান থাকে না। বাড়িতেই আমার সব ভাই বোনেরা আসে, পিসিরা আসে, যারা বিদেশে থাকেন তারাও সবাই আসেন। এইবছর পুজো পুরো ফাঁকা ফাঁকা। আগের বছরগুলোর মতো অত হইহুল্লোড় এবছর হবে না। বাবা একদম strictly না করে দিয়েছে।

ছোটবেলায় কিভাবে পুজো কাটাতে?
বাড়িতে থেকেই পুজো কাটাতাম।

পুজোর সেরা স্মৃতি?
পুজোর সময় যখন কুমারী পুজো হয়, সেটা আমার খুব ভালো লাগে। তবে স্মৃতি বলতে আমার একটা দিনের কথা খুব মনে পড়ে। কোন ক্লাসে পড়তাম, ঠিক মনে নেই। মা দুর্গাকে যখন বিসর্জন দিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো, আমি মা দুর্গার চোখ থেকে জল পড়তে দেখেছিলাম। আমাদের বাড়ির পুজোয় এক চালার ঠাকুর হয়। আর অনেকে মিলে বাঁশ দিয়ে বেঁধে কাঁধে করে ঠাকুর বিসর্জন দিতে নিয়ে যাওয়া হয়, লড়িতে বা ট্রাকে তোলা হয় না। মা দুর্গা যাওয়ার আগে অনেক্ষণ প্রদক্ষিণ করানো হয়। মা দুর্গাকে যখন দুর্গা দালান থেকে বের করা হচ্ছে , আমি নিজের চোখে দেখেছিলাম মা দুর্গার চোখ থেকে জল পড়তে। আমি তখন অনেক ছোট ছিলাম, দেখেই কেঁদে ফেলেছিলাম। আমার দাদু একমাত্র বলেছিলো দেখে থাকতেই পারো, মায়েরও তো মন খারাপ করে। এটা আমার কাছে সত্যি একটা বড় স্মৃতি।

পুজো স্পেশ্যাল প্রেম হয়েছে কখনো?
না পুজো স্পেশ্যাল প্রেম
কখনো হয়নি।

No comments