"নাচ থেকেই অভিনয়ের অফার পাই" - অলিভিয়া মালাকার
ছোটবেলা থেকেই নাচ তাঁর প্রথম ভালোবাসা। ক্লাস ফোর-ফাইভে পড়ার সময় এই নাচ থেকেই পেয়েছিলেন অভিনয় করার অফার। কিন্তু ক্যামেরার সামনে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত। স্কুলের ড্রামায় পার্টিসিপেন্ট থেকে ছোটপর্দার পরিচিত মুখ। কতটা সাপোর্ট পেয়েছিলেন বাড়ি থেকে? সেই নিয়েই কলকাতা গ্লিটজের সঙ্গে আড্ডায় 'ইরাবতীর চুপকথা'-র তিস্তা ওরফে অলিভিয়া মালাকার।
গ্লিটজ- অভিনয়ে আসার সিদ্ধান্ত কেন নিলে?
অলিভিয়া- আমি ছোট থেকেই নাচ করতে খুব ভালোবাসি। নাচের প্রতি আমার কতটা ভালোবাসা তা বলে বোঝাতে পারবো না। এই নাচ থেকেই আমার প্রথম সুযোগ আসে। আমি তখন ক্লাস ফোর কি ফাইভে পড়ি। সেই সময়ে পুলিশ ফাইলস থেকে আমার কাছে অফার আসে। কিন্তু পারিবারিক কিছু সমস্যার জন্য তখন সেই কাজটা করতে পারিনি। তখন থেকেই একটা ইচ্ছে ছিল। তবে পরে এটাকেই যে ভালোবেসে ফেলব সেটা ওই সময় বুঝিনি। কিন্তু ভালোলাগাটা কোথাও একটা থেকে গিয়েছিল। আমি যেহেতু নাচ করতাম তাই স্কুলের যত কালচারাল প্রোগ্রাম হত, ড্রামা, ডান্স সবগুলোতেই অংশগ্রহণ করতাম। উচ্চ মাধ্যমিকের পর আমি ভাবলাম পড়াশোনাটা তো আছেই, এর পাশাপাশি নিজের ভালোলাগাটাকে নিয়ে যদি এগোনো যায়। ওই সময়েই সিদ্ধান্তটা নিয়েছিলাম। তবে এতদূর আসতে পারব বা এত মানুষের থেকে ভালোবাসা পাব সেটা ভাবিনি।
গ্লিটজ- তুমি কোথা থেকে নাচ শিখেছ?
অলিভিয়া- নৃতাল ছন্দ। যেটা এখন NCDC নামে পরিচিত, সেখান থেকে নাচ শিখেছি। আমার নাচের গুরু শ্রী সৌরভ চন্দ।
গ্লিটজ- তোমার প্রিয় নৃত্যশিল্পী কে?
অলিভিয়া- কোহিনূর সেন বরাট।
গ্লিটজ- তোমার প্রথম কাজ কী? সেই সুযোগটা কীভাবে এসেছিল?
অলিভিয়া- প্রথম কাজ 'তুমি এলে তাই'। আমি একটা জায়গায় অভিনয় শিখতাম। সেখান থেকেই বিভিন্ন সিরিয়ালে অডিশন দিতাম। অডিশনের মাধ্যমেই কাজটা পেয়েছিলাম।
গ্লিটজ- অভিনয়ে আসা নিয়ে বাড়ি থেকে কোনো আপত্তি হয়নি?
অলিভিয়া- না অভিনয়ে আসা নিয়ে বাড়ি থেকে কোনো আপত্তি হয়নি। বাবা-মা কেউই কখনও আপত্তি করেনি। বরং দুজনের থেকে প্রচুর সাপোর্ট পেয়েছি। এখনও পাচ্ছি।
গ্লিটজ- অভিনয়ের পাশাপাশি আর কী করছ?
অলিভিয়া- পড়াশোনা শেষ। অভিনয়ের পাশাপাশি নাচটাই চালিয়ে যাচ্ছি।
গ্লিটজ- 'ইরাবতীর চুপকথা'-র অফারটা কীভাবে পেয়েছিলে?
অলিভিয়া- ইরাবতীর আগে আমি 'জীবন জ্যোতি' নামে একটি সিরিয়াল করেছিলাম। ওই সময় আমি অ্যাক্রোপলিস প্রোডাকশন হাউজের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তখন পায়েল দি আমাকে স্নিগ্ধা দি ও সানি দা-র সঙ্গে আলাপ করায়। প্রথমদিন কিছু না জেনেই দেখা করতে চলে গিয়েছিলাম। পরেরদিনই পায়েল দি মেসেজ করে বলে 'দু'দিন পরে তোর লুকসেট আছে। তুই সিলেক্টেড।' এইভাবেই ইরাবতীর অফারটা পেয়েছিলাম।
No comments