আলাপচারিতায় টিম 'Mask Must'
পরিচালনা ও সম্পাদনার পাশাপাশি শর্ট ফিল্মটিতে অভিনয়-ও করেছেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন দেবোত্তম মজুমদার ও রাজর্ষি মুখার্জি।
তাই নিয়েই আলোচনা করা গেল তিন অভিনেতার সঙ্গে।
গ্লিটজ- সবাই তো যে যার বাড়িতে বসে ভিডিও করেছো। রেকর্ডিং কে করেছে?
অভিজিৎ- আমার বাবা।
দেবোত্তম- বিরাট লড়াই। আমার মেয়ের বয়স ৯ মাস। তাই আমার স্ত্রী স্নিগ্ধা খুব ব্যস্ত ছিল। ব্যস্ততার মধ্যেও ২০ শতাংশ ও করেছে। আর বেশিরভাগটাই শ্যুট করেছে আমার বাবা।
রাজর্ষি- আমার স্ত্রী সংঘমিত্রা।
গ্লিটজ- ক্যামেরা হ্যান্ডলিং-এর ক্ষেত্রে সকলেই তো অনভিজ্ঞ , সেক্ষত্রে সমস্যা বা রি-টেক কতবার করতে হয়েছে ?
অভিজিৎ- হ্যাঁ একটু বেশি বারই করতে হয়েছে।
দেবোত্তম- প্রথমদিকে বাবা খুব যে একটা পারছিলো তা নয়। আমিও ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলছিলাম। কিন্তু বাবা অত্যন্ত সিরিয়াসলি ব্যাপারটা নিয়েছিল বলেই বোধ হয় যে লোকটা জীবনেও মোবাইল ফোনে ভিডিও রেকর্ডিং করেনি, তা সত্ত্বেও ৮০ শতাংশ কাজ উতরে দিয়েছে।
রাজর্ষি- বেশ কয়েকবার। কারণ আমার স্ত্রী এতকাল বাড়িতে বসে সিরিয়াল দেখেছে। এই ভূমিকায় তাকে কোনদিন আসতে হবে ভাবেই নি। কোনো ধারণাই ছিল না।তবে অনেক পরিশ্রম করে খানিকটা উতরে দিয়েছে আর কি।
গ্লিটজ- ঘরে বসে এরকম একটা শর্ট ফিল্মে শ্যুটিং করার অনুভূতিটা কিরকম ছিল?
অভিজিৎ- ফিজিক্যাল খাটনির চেয়ে মেন্টাল পরিশ্রম অনেক বেশি ছিল।
দেবোত্তম- শ্যুটিং-এ অভ্যস্ত জীবন থেকে হঠাৎ করে এরকম বাড়িতে বসে যাওয়াটা খুব বেদনাদায়ক। তাই এই কাজটা একটা Fresh air ছিল। খুব এনজয় করেছি। সবচেয়ে বড় কথা শ্যুটিং-এর Excitement-টা আবার অনেকদিন পর অনুভব করতে পারছিলাম প্রতিটা শটে।
রাজর্ষি- ভীষণ ভালো। কিছুক্ষনের জন্য মনে হয়েছিল লকডাউন উঠে গিয়েছে। এই তো শ্যুট করছি।
দেখে নিন সেই শর্ট ফিল্মটি-
No comments