নারীদিবসে শ্রেষ্ঠ পাওয়া মুখার্জি দার বউ
{স্পয়লার নয় - অবশ্য সামাজিক ড্রামা জনারের আবার স্পয়লার কি?}
সিনেমা রিভিউ শুরুটাই করি শেষ থেকে - নারী দিবসের দিন "মুখার্জী দার বউ" সিনেমাটা দেখে বেরিয়ে মনে হল - এর থেকে সার্থকভাবে নারীদিবস উদযাপন আমি আমার ৬৯ বছরে কোনওদিন করিনি। একটা সিনেমার সমস্ত চরিত্রগুলোকে যখন আশেপাশের বন্ধু/আত্মীয়দের মধ্যে খুঁজে পাই - তখন নিজেকেও সেই সিনেমার একটা চরিত্র কল্পনা করে নিতে কষ্ট হয় না। একাত্মতা চলে আসে সিনেমার চরিত্রগুলির সঙ্গে।
ছোট ছোট সম্পর্কের ভালোলাগার বা মান-অভিমান-দ্বন্দ্বের মুক্তোগুলোকে অসাধারণ যত্ন - নিপুণতার সাথে বুনেছেন পরিচালক পৃথা চক্রবর্তী এবং কাহিনীকার সম্রাজ্ঞী বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দিতা-শিবপ্রসাদের উইন্ডোজ প্রডাকশনের সিনেমা মানেই আমাদের আটপৌরে জীবনের গল্পগুলোকে একটা নতুন চোখে দেখা বা নিজেদেরকেই আয়নায় নতুনভাবে চিনতে পারা। মুখার্জি দার বউ - উইন্ডোজের সেই ট্র্যাডিশন যে ধরে রাখতে পেরেছে তা বলাই বাহুল্য।
গল্পের শুরু কেন্দ্রীয় চরিত্র অদিতি'র (কনীনিকা ব্যানার্জী) শ্বশুরের মৃত্যুর পর। সম্পর্কের তিক্ততা উত্তরোত্তর বাড়তে থাকে অদিতির সাথে তার শ্বাশুড়ি শোভারানির (অনসূয়া মজুমদার)। অদিতি রাত্রে স্বামীর সঙ্গে নিমন্ত্রণ থেকে ফিরলে দেখে শ্বাশুড়ি অজানা গোঁসার কারণে খাওয়া দাওয়া না করেই বসে আছেন। ভয় লাগছে বলে প্রতি রাত্রে অদিতিকে নিজের কাছে শোওয়ানো, ছেলের ছোটবেলার ছবি খোঁজার নাম করে বৌমার আলমারী ঘাঁটা - কিম্বা টিভির চ্যানেল চেঞ্জ করে নিজের পছন্দের সিরিয়াল দেখতে শুরু করা - অদিতির অনুমতির অপেক্ষা না করেই। এই সব ঘটনা শ্বাশুড়ি বৌমার তিক্ততা বাড়িয়েই চলে। দর্শকের স্বাভাবিক বোধ যেখানে আধুনিক অদিতিকে স্বামীর সাথে আলাদা করে শোভারানিকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানোরই পথ দেখায় সেখানে সম্রাজ্ঞী তাঁর গল্পে দেখালেন অদিতি তার শ্বাশুড়িকে নিয়ে গেলেন মনস্তত্ত্ববিদ আরাত্রিকার (ঋতুপর্ণা) কাছে। আরাত্রিকাই তারপর মনের কান্ডারী হয়ে উঠলেন অদিতি ও শোভারানির। ক্রমে তাঁদের বোঝালেন - how to understand each other by putting yourself in others shoes. সম্পর্কের উন্নতি ঘটল শ্বাশুড়ি বৌমার।
বাকি এবং আনুষঙ্গিক গল্প জানতে অবশ্যই দেখতে হবে মুখার্জি দার বউ। অভিনয়ে সবাই দুর্দান্ত - একমুহুর্তের জন্যেও আলস্য বোধ হয়নি।
সিনেমা রিভিউ শুরুটাই করি শেষ থেকে - নারী দিবসের দিন "মুখার্জী দার বউ" সিনেমাটা দেখে বেরিয়ে মনে হল - এর থেকে সার্থকভাবে নারীদিবস উদযাপন আমি আমার ৬৯ বছরে কোনওদিন করিনি। একটা সিনেমার সমস্ত চরিত্রগুলোকে যখন আশেপাশের বন্ধু/আত্মীয়দের মধ্যে খুঁজে পাই - তখন নিজেকেও সেই সিনেমার একটা চরিত্র কল্পনা করে নিতে কষ্ট হয় না। একাত্মতা চলে আসে সিনেমার চরিত্রগুলির সঙ্গে।
ছোট ছোট সম্পর্কের ভালোলাগার বা মান-অভিমান-দ্বন্দ্বের মুক্তোগুলোকে অসাধারণ যত্ন - নিপুণতার সাথে বুনেছেন পরিচালক পৃথা চক্রবর্তী এবং কাহিনীকার সম্রাজ্ঞী বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দিতা-শিবপ্রসাদের উইন্ডোজ প্রডাকশনের সিনেমা মানেই আমাদের আটপৌরে জীবনের গল্পগুলোকে একটা নতুন চোখে দেখা বা নিজেদেরকেই আয়নায় নতুনভাবে চিনতে পারা। মুখার্জি দার বউ - উইন্ডোজের সেই ট্র্যাডিশন যে ধরে রাখতে পেরেছে তা বলাই বাহুল্য।
গল্পের শুরু কেন্দ্রীয় চরিত্র অদিতি'র (কনীনিকা ব্যানার্জী) শ্বশুরের মৃত্যুর পর। সম্পর্কের তিক্ততা উত্তরোত্তর বাড়তে থাকে অদিতির সাথে তার শ্বাশুড়ি শোভারানির (অনসূয়া মজুমদার)। অদিতি রাত্রে স্বামীর সঙ্গে নিমন্ত্রণ থেকে ফিরলে দেখে শ্বাশুড়ি অজানা গোঁসার কারণে খাওয়া দাওয়া না করেই বসে আছেন। ভয় লাগছে বলে প্রতি রাত্রে অদিতিকে নিজের কাছে শোওয়ানো, ছেলের ছোটবেলার ছবি খোঁজার নাম করে বৌমার আলমারী ঘাঁটা - কিম্বা টিভির চ্যানেল চেঞ্জ করে নিজের পছন্দের সিরিয়াল দেখতে শুরু করা - অদিতির অনুমতির অপেক্ষা না করেই। এই সব ঘটনা শ্বাশুড়ি বৌমার তিক্ততা বাড়িয়েই চলে। দর্শকের স্বাভাবিক বোধ যেখানে আধুনিক অদিতিকে স্বামীর সাথে আলাদা করে শোভারানিকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানোরই পথ দেখায় সেখানে সম্রাজ্ঞী তাঁর গল্পে দেখালেন অদিতি তার শ্বাশুড়িকে নিয়ে গেলেন মনস্তত্ত্ববিদ আরাত্রিকার (ঋতুপর্ণা) কাছে। আরাত্রিকাই তারপর মনের কান্ডারী হয়ে উঠলেন অদিতি ও শোভারানির। ক্রমে তাঁদের বোঝালেন - how to understand each other by putting yourself in others shoes. সম্পর্কের উন্নতি ঘটল শ্বাশুড়ি বৌমার।
বাকি এবং আনুষঙ্গিক গল্প জানতে অবশ্যই দেখতে হবে মুখার্জি দার বউ। অভিনয়ে সবাই দুর্দান্ত - একমুহুর্তের জন্যেও আলস্য বোধ হয়নি।
রিভিউ- নীলিমা রায়চৌধুরী
রেটিং- ৪/৫
No comments