'ও আমার কাছে সব উৎসবেই স্পেশ্যাল'- শ্বেতা ভট্টাচার্য
ষষ্ঠী থেকে দশমী এবারের পুজোর প্ল্যান?
আমি ফ্যামিলির সঙ্গে থাকতে প্রচন্ড ভালোবাসি। তাই পুজোর কটা দিন মা, বাবা, পরিবার, বন্ধু বান্ধবদের নিয়েই থাকবো। সারাবছর কাজের জন্য পরিবারের সঙ্গে সেভাবে সময় কাটানোর সুযোগ থাকে না। যদিও আমি সবসময় আমার মা-কে সঙ্গে পাই কারণ আমার প্রোডাকশন হাউস সেই সুবিধাটা আমায় দিয়েছে। এরজন্য স্নেহাশীষদার কাছে আমি সবসময় কৃতজ্ঞ।
কোনদিন কি ড্রেস পরবে?
ষষ্ঠীর দিন হালকা রঙের উপর ক্যাজুয়াল কিছু পরব। সপ্তমীর দিন হয়তো সালোয়ার বা লেহেঙ্গা পরব। অষ্টমীর দিন অবশ্যই শাড়ি। অষ্টমীর অঞ্জলি শাড়ি ছাড়া ভাবাই যায় না। নবমীর দিন সালোয়ার বা জিন্স টপ পরতে পারি। দশমীতে সিঁদুর খেলা হয়। ওইদিন সাদা রঙের কোনো শাড়ি পরতেই আমার বেশি পছন্দ।
খাওয়া দাওয়ার কি প্ল্যান?
আমি খুব একটা ডায়েট করিনা, কারণ আমি পারিনা। প্রচন্ড লোভ লাগে খাওয়ার দেখলে, বিশেষ করে বিরিয়ানি দেখলে। তাই পুজোর কটা দিন মানেই বাইরে খাওয়া। পুজোর সময় শুধু দুপুরেই বাড়িতে রান্না হয়। রাতে রোজ রেস্তোরায় খাওয়া দাওয়া। ফ্রাইড রাইস, চিলি চিকেন, বিরিয়ানি সব খাবো।
পুজোর আড্ডা?
আমাদের পাড়ায় পুজো হয়। সকালে ওখানে বসেই বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিই। আর অষ্টমীতে আমার জেঠির পাড়ায় যাই। সেখানেই আমি অঞ্জলি দিই। সব দাদা, বৌদি, বোনেরা একসঙ্গে মিলে আড্ডা হয় ওইদিন। সদ্য আমাদের পরিবারে একজন নতুন সদস্য এসেছে। আমার জেঠুর ছোট ছেলের ছেলে হয়েছে। সবে এক মাস হয়েছে। তাই ওকে নিয়ে ভালোই সময় কেটে যাবে। আর দশমীর দিন সন্ধ্যেবেলা আমার বাড়িতে আড্ডা হয়। সব বন্ধু বান্ধব ও তাদের পরিবারের লোকজনরা আসে। সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া, আড্ডা দারুন জমে।
পুজোর সেরা স্মৃতি?
পুজোর সেরা স্মৃতি বলতে একটা ঘটনা খুব মনে পরে যায়। আমার ছোটবেলার এক বন্ধু আছে দেবযানী। ওর মা একবার রেস্তোরা ভেবে বিয়ে বাড়িতে ঢুকে পরেছিলো। সঙ্গে আমার মা আর দেবযানী ছিল। সবাই বুঝতে পারছিল। তারপর আমি যেই ঢুকেছি বিয়ে বাড়ির লোকজন আমায় চিনতে পেরেছে। তখন আমি তুমি রবে নীরবে সিরিয়াল করছিলাম। ওরা আমায় পেয়ে খুব খুশি হয়েছিল। ভগবানের দয়ায় এতো মানুষ আমাকে ভালোবাসে, এটা আমার কাছে সত্যি একটা বড় পাওনা। কিন্তু ওইদিন ওইসময় আমি যে কি অস্বস্তিকর পরিবেশে পড়েছিলাম কি বলব। বিনা নিমন্ত্রণে রেস্তোরা ভেবে ভুল করে এরকম খেতে ঢুকে যাওয়া। আমি কাকিমাকে বলছি তোমরা এটা কি করেছ। ওখান থেকে বেরোনোর পর আমাদের আর হাসি থামছিল না। ওটা একটা মজাদার স্মৃতি ছিল।
পুজো স্পেশ্যাল প্রেম হয়েছে কখনো?
না। কারণ আমি যার সঙ্গে প্রেম করি, সেই মানুষটা আমার কাছে সব উৎসবেই স্পেশ্যাল। তাই তাকে বাদ দিয়ে আলাদা কোনো প্রেম সম্ভবই নয়। সে সবসময় আমার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। তাকে বাদ দিয়ে আমি কিছু ভাবিনা। তবে হ্যাঁ ঝারি মারামারি হয়। কোন ছেলেকে দেখে ঝারি মারলেও ওকে এসে বলে দিই। কোনোকিছুই লুকিয়ে রাখি না।
No comments