ইনকি দোস্তি কায়েম রহে
ইনকি দোস্তি
কায়েম রহে
টেলিভিশনের পর্দায় একে অপরের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বী। অথচ
বাস্তব জীবনে ভীষণ ভালো বন্ধু। এমনটা প্রায়শই দেখা যায়।
বাস্তবে দুজনের মধ্যে এতটাই মধুর সম্পর্ক যা অন্যান্যদেরকেও মুগ্ধ করে।
এমনটাই দেখা গিয়েছে রনিত রায় ও দর্শন পান্ডের মধ্যে।
একটি বেসরকারী চ্যানেলের বিখ্যাত ধারাবাহিক 'ইতনা কর না মুঝে প্যার '. সেখানে নায়ক ডাক্তার নীল্ ওরফে নচিকেতের ভূমিকায় অভিনয় করছেন রণিত রায়। আর নায়ক না হলেও এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ডাক্তার আমন। যে কিনা নায়িকা ডক্টর রাগিনীর একজন সাহায্যকারী-ও বটে।
নচিকেত ও রাগিনীর বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে বহু বছর।
কিন্তু দুজনার
প্রেম আজ-ও অম্লান। আমনকে নিজের প্রাক্তন স্ত্রীর সঙ্গে দেখলে নীল্ আজ-ও
জ্বলে ওঠে। হোক না প্রাক্তন তবু স্ত্রী তো বটে। তার উপর রাগিনী শুধু নীলের স্ত্রী ছিল না, সে নীলের প্রেমিকাও বটে। কাজেই ডক্টর আমন যতই নীলকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন না কেন, নীল্ তাকে ছেড়ে কথা বলবে কেন?
শান্ত
প্রকৃতির
মানুষটাকে সে একেবারে নাজেহাল করে ছাড়ে। কারণ সে নিজেই তো জ্বলছে, আর সে জন্য দায়ী যে মানুষটা, তাকে রেহাই দেওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।একটি বেসরকারী চ্যানেলের বিখ্যাত ধারাবাহিক 'ইতনা কর না মুঝে প্যার '. সেখানে নায়ক ডাক্তার নীল্ ওরফে নচিকেতের ভূমিকায় অভিনয় করছেন রণিত রায়। আর নায়ক না হলেও এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ডাক্তার আমন। যে কিনা নায়িকা ডক্টর রাগিনীর একজন সাহায্যকারী-ও বটে।
পর্দায় এমনতর ব্যাপার স্যাপার দেখালেও বাস্তবে বিষয়টা কিন্তু একেবারেই ভিন্ন। দর্শন আর রণিতের মধ্যে অফ স্ক্রিন কেমিস্ট্রি দারুন ভালো। দুজনের মধ্যে এতটাই বন্ধুত্ব যে একসঙ্গে রিহার্সাল করেন দুজনে। আর দুজনের স্বভাব এতটাই আমুদে যে পর্দায় এই শত্রুতার আমেজটা রীতিমত উপভোগ করেন দুই অভিনেতাই। উভয়েই জাত অভিনেতা। কাজেই কঠিন থেকে কঠিনতর দৃশ্য তাঁদের কাছে জলভাত বললেই হয়।
এমনই এক শত্রুতার দৃশ্যের শুটিং চলছিল। যেখানে রাগিনীকে নিয়ে নীল্ আর আমনের মধ্যে ফাটাফাটি চলবে। কিন্তু রণিত আর দর্শনের আচরণে স্বয়ং পরিচালকেরও আক্কেল গুড়ুম। আর নায়িকা রাগিনী মানে পল্লবী কুলকার্নি তো রীতিমত হতভম্ব। যতবার দুজনকে সংলাপ বলতে বলা হয় ততবারই হাসিতে ফেটে পড়েন দুজনে। সেই দৃশ্যে উপস্থিত থাকবার কথা পল্লবীরও। সংলাপ বলা তো দুরের কথা , দুই অভিনেতার এমনতর পাগলামি দেখে নায়িকার তো সংলাপই ভুলে যাবার যোগাড়।
এমনই এক শত্রুতার দৃশ্যের শুটিং চলছিল। যেখানে রাগিনীকে নিয়ে নীল্ আর আমনের মধ্যে ফাটাফাটি চলবে। কিন্তু রণিত আর দর্শনের আচরণে স্বয়ং পরিচালকেরও আক্কেল গুড়ুম। আর নায়িকা রাগিনী মানে পল্লবী কুলকার্নি তো রীতিমত হতভম্ব। যতবার দুজনকে সংলাপ বলতে বলা হয় ততবারই হাসিতে ফেটে পড়েন দুজনে। সেই দৃশ্যে উপস্থিত থাকবার কথা পল্লবীরও। সংলাপ বলা তো দুরের কথা , দুই অভিনেতার এমনতর পাগলামি দেখে নায়িকার তো সংলাপই ভুলে যাবার যোগাড়।
দর্শনকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে খুব আনন্দের সঙ্গে সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। তাঁর মতে অভিনেতা হিসেবে রণিত যেমন একজন পারফেকশনিস্ট, তেমন একজন ভালো মনের মানুষ। প্রথমে ওঁকে দেখলে একটু গুরু গম্ভীর গোছের মনে হয়। কিন্তু মানুষটা আসলে দারুন আমুদে আর মজাদার। খুব হাসে আর সকলকে হাসাতে ভালবাসে। ওঁর সঙ্গে কাজ করে যে অভিনয়ের ক্ষেত্রে অনেক কিছু শিখেছেন, তা বলতে একটুও দ্বিধা করেননি দর্শন।
সংলাপ বলতে গিয়ে দুজনের হেসে গড়িয়ে পড়বার রহস্য-ও ফাঁস করেছেন তিনি। সেই দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে দুজনকে বার বার দুজনের দিকে প্রচন্ড রাগী মুখ করে তাকাতে হচ্ছিল। আর এটাতেই দুই বন্ধু কাম সহঅভিনেতা কিছুতেই হাসি চাপতে পারছিলেন না।
তবে নিন্দুকের তো অভাব নেই। কাজেই রণিত -দর্শনের বন্ধুত্ব নিয়ে ফোড়ন কাটবার লোকের-ও অভাব নেই। তাদের মুখে ছাই দিয়ে দুজনার দোস্তি অক্ষয় হোক।
তবে নিন্দুকের তো অভাব নেই। কাজেই রণিত -দর্শনের বন্ধুত্ব নিয়ে ফোড়ন কাটবার লোকের-ও অভাব নেই। তাদের মুখে ছাই দিয়ে দুজনার দোস্তি অক্ষয় হোক।
লিখছেন বৈদেহী