টলিউড থেকে বলিউড
যাত্রা শুরু
এক যে আছে কন্যে। মাটির
দেশের মেয়ে হলেও তাঁকে ভ্রম
হয় পরি বলে।
সত্যজিত
রায়ের ভাষায় 'স্তব্ধশ্বাস রুদ্ধভাষ
বিমূঢ বিস্ময় ' মেয়েটা
পেশায় অভিনেত্রী।
একটু ভুল হলো। অভিনয়
শুধু মেয়েটার পেশা নয়, প্যাশন-ও বটে। না
হলে আর 'জাতিস্মর' কিংবা
'টেক ওয়ান'-এর মত
ছবিতে মেয়েটার অভিনয় দেখে দর্শকেরা
অবাক হয়ে ভাবে , নাহ
মেয়ের এলেম আছে বটে।
চরিত্রগুলো কিভাবে জীবন্ত করে
তুলছে দেখো।
'সৌদামিনী'
না 'রোহিনী ' কোনটা ছেড়ে কোনটার
কথা বলি ! সবকটাই যে
এক সে বড়কর এক।
এহেন মেয়ের প্রতিভা শুধু
একটি মাত্র ভাষার ছবিতে
সীমাবদ্ধ থাকবার কথা নয়।
আর তা থাকেও নি।
এবারে
মেয়েটা টলিপাড়া থেকে পাড়ি জমালো
বি টাউনে। আর
প্রথম ছবিতেই বাজিমাত। 'ডিটেকটিভ
ব্যোমকেশ বক্সী'
ছবি দিয়ে বলিউডের মাটিতে
হামা টানেনি। রীতিমত স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত
করেছে নিজেকে , চরিত্রটাকেও।
মেয়েটা
এককথায় রীতিমত সাহসী। নাহলে
প্রথম ছবিতে যেখানে অধিকাংশ
অভিনেত্রী নায়িকার রোল
পাওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকেন
, সেখানে মেয়েটা নির্বাচন করলো
একেবারে অন্যরকম একটা চরিত্র।
চরিত্রটা আপাতদৃষ্টিতে হালকা একটা চরিত্র
, কিন্তু মেয়েটা বেছেছিল সেই
চরিত্রটাকেই। কারণ সে
শুধু জাত অভিনেত্রী
নয়, দূরদর্শী-ও বটে।
। যে জানত যে
আমি এই
চরিত্রটাকে স্বকীয়তায় ফুটিয়ে তুলব।
এই
চরিত্রের মাধ্যমেই প্রেমের জয়গান গেয়েও যাব।
মেয়েটা জানতো বিখ্যাত গোয়েন্দাকে নিয়ে এই ছবি নির্মিত। দর্শক তো
সত্যান্বেষীর ক্যারিশমা দেখতে আসছে। সেখানে ভিলেনের প্রেমিকাকে কে
দেখবে ? যে কোনো অভিনেত্রী এই ভেবেই এই ছবির এই চরিত্রে অভিনয়ের
অফার ফিরিয়ে দিতে পারত। কিন্তু মেয়েটা সেই পথে আদৌ হাঁটেনি।
চরিত্রটা ভিলেনের প্রেমিকার হলেও প্রেমের গৌরবে উজ্জ্বল। যে ব্যোমকেশ-কে সিডিউস করার চেষ্টা করে। যদিও তা অবশ্যই প্রেমিকের কথায়।
কারণ ভালবাসার সেই মানুষটির জন্য সেই নারী যে কোনো পর্যায়ে নামতে
পারে। যদিও প্রেমের কোনো মর্যাদা সে পায়নি। তার মৃত্যু ঘটবে নিজের
প্রেমিকের হাতেই। কেন এই মর্মান্তিক পরিণতি তার ! নামে অঙ্গারের ছোয়া
থাকলেও আসলে চরিত্রটা প্রেমের স্নিগ্ধতায় উজ্জ্বল। কিন্তু ওই যে নামের
অভিশাপ , যা অকালেই তাঁর ঝরে যাওয়ার নিয়তি নির্ধারিত করেছে।
এতক্ষণে নিশ্চই পাঠক বুঝে গিয়েছেন কার কথা বলা হছে ! দ্য গ্রেট স্বস্তিকা
মুখোপাধ্যায়। যাঁর উড়ান এবারে টলিপাড়া থেকে বলিপাড়ায়, কি বলি এই
উড়ানকে? বলুন তো ? লং জাম্প না হাই জাম্প!
এক রাশ শুভকামনা রইলো।
লিখছেন ময়ূমী
গুপ্ত