ব্রেস্ট ক্যান্সার ভার্সেস চা
কর্কট
রোগ, ওরে বাবা সে তো শিবের-ও অসাধ্য। সাধারণ
মানুষের মনে কর্কট রোগ সম্পর্কে এমনতর ধারণাই রয়েছে। কিন্তু কর্কট রোগ বিশেষত ব্রেস্ট ক্যান্সার-কে দুরে
সরিয়ে রাখতে পারে এক অতি পরিচিত পানীয় তা হলো চা।
শুনে চা খর মহিলাদের মুখে হাসি সরছে না।
একথা বললে বিশেষ অত্যুক্তি হবে না।
চা
খেলে ব্রেস্ট ক্যান্সারের সম্ভাবনা হ্রাস পায়। এই কথা নেহাত আকাশকুসুম কল্পনা নয়। এক সাম্প্রতিক সমীক্ষায় একথা প্রমানিত।
এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকগণ।
চা
পান করলে মানবদেহে রক্তবাহের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। এমনটাই দেখা গিয়েছে বিভিন্ন পরীক্ষায়। তাই মদ্যপানের থেকে চা পান যে শরীরের পক্ষে অত্যন্ত
দরকারী -এ বিষয়ে অন্তত কোনো সন্দেহ নেই। ক্যান্সার-এর মত মরণ রোগকে চা দিয়ে অন্তত কিছুটা হলেও ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব। শরীরের সুস্থতার প্রশ্নে কোনো আপোস নয়। সেক্ষেত্রে
মদ্যপায়ী নারীরা দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাবার মত চা পান করেই না মদ্যপান করছি এমনটা ভেবে নিন। কারণ চা খোরদের তুলনায়
মদ্যপানে অভ্যস্ত এমন মহিলারাই ব্রেস্ট ক্যান্সার-এ আক্রান্ত হন বেশি। এমনটাও প্রমানিত এই পরীক্ষায়। তুলনামূলকভাবে চা
পানকারী মহিলারা নিরাপদ। তাই পার্টিতে লোকের অনুরোধেও এক -আধ পেগ নাই বা খেলেন। কর্কট
রোগের মোকাবিলায় মদ্যপান না হয় বর্জিতের তালিকাতেই ঠাই পেল।
যে
সব মহিলারা নিয়মিত চা পান করে থাকেন , তাঁদের ক্ষেত্রে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা প্রায়
শতকরা ২১ শতাংশ কম থাকে। এমনটাই জানাচ্ছেন
ক্যান্সার স্পেশালিস্টরা।
এবারে
একটা প্রশ্ন মনে জাগা খুব স্বাভাবিক। চা তে
এমন কোন গুন রয়েছে যে কর্কটের মোকাবিলায় তা একমেবাদ্বিতীয়ম। এর জন্য ক্রেডিট প্রাপ্য চা-তে উপস্থিত একটি উপাদান পলিফেনলের। এই উপাদানটি চা-য় প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। এছাড়াও এই পানীয়ে রয়েছে প্রভূত ক্যাত্চীন ও গ্যালো-ক্যাত্চীন।
এই তিনটি উপাদানেই বিপুল পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এছাড়া এই ত্রয়ী আন্টি-টিউমার হিসেবেও কাজ করে।
তবে
এক্ষেত্রে দুধ চায়ের থেকে কালো চা বেশি উপকারী। কালো চা বা লিকার শরীরের ফ্লাভনয়েড রক্তবাহের উপর সরাসরি ক্রিয়া করে। ফলে রক্তবাহের সংবহনতান্ত্রিক কার্যকারিতা ক্রিয়াশীল
থাকে।
যাক
যে সব মহিলারা ঘন্টায় ঘন্টায় চা খেতে ভালবাসেন , বাড়ির লোকেদের কাছে এজন্য প্রচুর বকুনি
খেতে হয় --- তাঁদের এবার পোয়াবারো।
লিখলেন ময়ুমী গুপ্ত