পিয়া তোরা ক্যায়সা অভিমান
এসো
মা লক্ষী বসো ঘরে
পিয়া তোরা ক্যায়সা অভিমান
কোজাগরী লক্ষী-পুজো বাংলার শুধু চিরকালের পুজোই নয় , এর মধ্যে প্রচ্ছন্ন বাংলার প্রানের স্পন্দন।
আকাশে কোজাগরী পূর্নিমার চাঁদের মিষ্টি হাসি। আর ঘরে ঘরে মা লক্ষীর পুজো হচ্ছে। ঠাকুর মশাই মন্ত্র পড়ছেন গম্ভীর ভাবে। সবাই চোখ বুজে মন দিয়ে মা লক্ষীর কথা ভাবছে। আর এদিকে মা
লক্ষী ভাবছেন তাঁর প্রাণের ঠাকুর অর্থাৎ নারায়ণের কথা। মায়ের মুখে লেগে আছে এক অপরূপ স্বর্গীয় সুষমা, মিষ্টি হাসি। সবাই চারিদিকে মা লক্ষী লক্ষী করছে। মায়ের তো শুনতে খুব ভালো লাগছে। চারিদিকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছেন। মেয়েরা কেউ শাড়ি পরে আবার কেউ বা কেপ্রি। কেউ কেউ আবার লাল পেড়ে শাড়ি পরেছে। পায়ে অলক্তরাগ। মায়ের মন ভরে যাছে। তারই মাঝে মন
চলে যাছে বৈকুন্ঠে। একবার কি তিনি পৃথিবীতে আসতে পারেন না। এত কিসের ব্যস্ততা। মায়ের অভিমান হয়। ঠোট ফোলান।
যাক মা এদিকে থাকুন । আর আমরা ততক্ষণ দেখে আসি নারায়ণ কি করছেন। বৈকুন্ঠে বসে একজন তো বুঝতেই পারছেন যে তাঁর লক্ষী প্রতি মুহুর্তে তাঁকে মনে করছেন। কিন্তু যতই মন খারাপ হোক। আমি কিছুতেই যাব না। এমনটাই ভাবেন এক প্রিয়ার বিরহে আচ্ছন্ন পুরুষ। কিন্তু ভারী ইছে করছে কমলাকে দেখতে। কি যে করি।
পুজো প্রায় শেষের পথে। এবার শান্তির জল
দেবেন ঠাকুর মশাই। কেপ্রী পরা মেয়েগুলো নিজের নিজের পাগুলো মায়েদের , দিদিদের শাড়ির তলায় ঢুকিয়ে দিল। তীর-কাটিতে বাধা সুতো কেটে দিলেন পুরুত। তখনি হঠাত দরজার কাছে ফিক করে হাসি। মা কমলা তো
অবাক। হরিপ্রিয়াকে দেখতে চলে এসেছেন হরি। মা হাসলেন। এদিকে নারায়ণের মুখেও মৃদু হাসি। হাসছে কোজাগরী চাঁদ। এই রকমই যে
কথা ছিল।
হরিপ্রিয়ার অভিমান না ভাঙিয়ে হরি কি পারেন ! পিয়া তোরা ক্যায়সা অভিমান।
লিখলেন ময়ুমী গুপ্ত
No comments