শিব ঠাকুর যে এখন কি করছেন / এদিকে যে মায়ের প্রাণ-ও উচাটন
মা দুর্গা , আমাদের আদরিনী উমা-কে পেয়ে তো আমরা আল্হাদে আটখানা। ওদিকে মা মর্তে চলে আসায় ভোলে বাবার কি হছে সে খবর রাখে কে ? এমনিতে তো
সব সময় সকলকে নিয়ে ভেবেই চলেন। ভাবতে ভাবতে নিজের সংসারের কথাটা যে আর মাথায় থাকে না। পার্বতী মা যাই হোক বকে ঝকে খাওয়ান। বেশি বম ভোলা হয়ে বসে থাকলে ভয় দেখান, আমি কিন্তু হিমালয়ে চলে যাব। ঠাকুর অমনি নড়ে চড়ে বসেন। সেই কবে সতী মা দক্ষ রাজার বাড়ি মানে নিজের বাপের বাড়ি যাওয়াতে কি কান্ডটাই না হলো। আর ঝামেলা ভালো লাগে না। তাই সুবোধ স্বামীটির মত মা দুর্গার কথা মেনে চলেন।
কিন্তু এ সময়টাতেই হয় মুশকিল। মা
দুর্গাকে ছেড়ে থাকা , তাও আবার টানা এতগুলো দিন ! দিনগুলো যে আর কাটতেই চায় না। আসলে মা দুর্গাকে যে আমাদের শিব ঠাকুর বড্ড ভালবাসেন। মা দুর্গাও তাই। এ জন্য পুজোর ডামাডোলে থাকলেও প্রায়শই গনেশ দাদাকে বলেন দেখ তো কৈলাসে ফোন করে তোর বাবা ঠিকঠাক খাওয়া দাওয়া করছে কিনা। ওদিকে নন্দী যে
কি করছে। তার মধেই শিব ঠাকুরের এস এম এস , কি গো ভুলেই গেলে নাকি ? মা হাসেন আর ভাবেন এই বার , এই বার ? যখন মর্তের মেয়েরা তোমার মাথায় জল ঢেলে তোমার মত স্বামী চায় , তখন আমার ভালো লাগে ঠিক। কিন্তু আবার একটু একটু ভয় লাগে একথাও তো ঠিক। কিন্তু তার-ই মাঝে মায়ের চিন্তা লোকটা যে কি করছে ? আমি এখানে। সেও সুযোগে ছিলিমের পর ছিলিম গাজা খাচ্ছে নির্ঘাত। তাই টুকটাক এস
এম এস খবরদার বেশি গাজা খাবে না একদম। আসলে লোকটাকে ওখানে রেখে এসে তাঁরও কি ভালো লাগে ? শিবের প্রেমে তিনিও যে দিওয়ানি। সাধে কি আর
অর্ধনারীশ্বর রূপ মর্তবাসীরা পেয়েছিল ?
শিব আর শক্তি দুজনে অভিন্ন। কাউকে ছেড়ে কেউ থাকতে পারেন না। তাই তো মায়ের মাথার উপরে থাকে শিব ঠাকুরের ছবি। কারণ শিব হলেন আদ্যাপুরুষ আর মা আদ্যাশক্তি, পরমাপ্রকৃতি।
লিখলেন ময়ুমী গুপ্ত
No comments