মরদানি রিভিউ
'যে দেশে
মা বোন কোনো সম্পর্ক
নয়, শুধু একটা গালি'
সে দেশে মরদানির প্রয়োজন
প্রতি ঘরে ঘরে। চাইল্ড
সেক্স ট্রাফিকিং এমন এক বাস্তব
ও সংবেদনশীল বিষয়কে কেন্দ্র করে
এই ছবি যেখানে রানির
চরিত্রটি এক ক্রাইম ব্রাঞ্চ ইন্সপেক্টরের। বিবাহিতা,
স্বামীর নাম ড. বিক্রম
রায়।
চেনা পরিচিত একটি মেয়ের
নিখোঁজ হওয়ার সুত্র ধরে
শিবানীর অপরাধ চক্রের সন্ধানে
বেরিয়ে পরা। টানটান চিত্রনাট্য, অবাঞ্চিত
গানের ব্যবহার নয়, অবাস্তব অ্যাকশন
সিকুয়েন্স নয়। প্রত্যেকের সাবলীল অভিনয় একটুও
একঘেয়েমি আসতে দেয় না। চরিত্রের
সঙ্গে মিশে গিয়ে দর্শকদের
মন ভরাতে পারলেও এখনো
নিজের সেরাটা দেওয়া বাকি
রয়েছে আদিত্য ঘরনীর।
এ ছবিতে যিশু সেনগুপ্তর
অবশ্য আলাদা করে কিছু
করার ছিল না। তবে
প্রশংসা করতেই হবে নবাগত
তাহির রাজ ভাসিনের অভিনয়ের।
যাকে খলনায়কের ভূমিকায় কোথাও কোথাও নায়কও
মনে হতে পারে দর্শকদের। সবকিছুকে
ছাপিয়ে দাগ কেটে যায়
রানির বহুরানি থেকে মরদানি হয়ে
ওঠা।
তথাকথিত বানিজ্যিক ছবির থেকে একটু
সরে এই ছবিতে রানিকে
নতুনভাবে আবিষ্কার করিয়ে আমাদের আরো
একবার মনে করিয়ে দেয়
নারীর অস্তিত্বের কথা, নারীর মর্যাদার
কথা।
আর এখানেই মরদানির সার্থকতা।
পুজোর আগে এর চেয়ে
ভালো কোনো নারী শক্তির
জয়ের ছবি হতেই পারে
না।
মা আসছেন।
বনি রায়চৌধুরী
No comments